প্রধান শিক্ষকের বাণী
দিনাজপুর জিলা স্কুল ওয়েবসাইট খুলে সরকারের ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং সরকারের ভিশন ২০২১ এর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। জিলা স্কুলের ওয়েবসাইটটিতে যে তথ্য, উপাত্ত থাকবে তা অবাধ তথ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করবে এবং তা সবার কাছে সহজ লভ্য হবে। এটা নিশ্চিত যে, আমাদেরকে ইনফরমেশন হাইওয়েতে উঠতে গেলে, চলতে গেলে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করণের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারী দপ্তর, পরিদপ্তর ও অধিদপ্তরের কার্যক্রমে সচ্ছতা, গতিশীলতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে এবং সেবার মান উন্নত হবে ও দুর্নীতি সহনীয় মাত্রায় নেমে আসবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। পরিশেষে দিনাজপুর জিলা স্কুলের ওয়েবসাইটির সফলতা ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত হোক এই কামনা করেই শেষ করছি।
মোছাঃ সামছুন নেহার
প্রধান শিক্ষক (ভারঃ)
দিনাজপুর জিলা স্কুল, দিনাজপুর।
স্কুল ইতিহাস
দিনাজপুর জিলা স্কুল শুধু দিনাজপুরেরই নয়, উত্তরবঙ্গের একটি অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান; ১৫০ বছরেরও বেশি কাল ধরে স্কুলটি তার স্বীয় বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জল। উত্তর জনপদের ঐতিহ্য দিনাজপুর জিলা স্কুল শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এবং দিনাজপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী স্কুলটির ইতিহাস এর ক্রমবর্ধমান অবকাঠামো ও পাঠদান পদ্ধতির সঙ্গে ওতোপ্রতভাবে জড়িত।
১৮৫৪ খৃষ্টাব্দে দিনাজপুর জিলা স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। তার পূর্ববর্তী কালে খ্রিষ্টান মিশনারীদের পরিচালিত প্রাইমারী স্কুলটি ছাড়া আর একটি বেসরকারীভাবে পরিচালিত প্রাইমারী স্কুল ছিল। বিজয় চক্রবর্তী নামক এক তরুণ সমাজকর্মীর চেষ্টায় সেটি ১৮৪৮ সালে স্থাপিত হয়। ১৮৫২ সালে স্কুলটি শহরের মধ্যস্থলে তুলে আনা হয়। ১৮৫৪ সালে সরকারের শিক্ষানীতি প্রবর্তনের ফলে প্রত্যেক জেলা শহরে একটি করে সরকারী স্কুল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পণা গ্রহণ করা হয়। তারই ফলশ্রুতিতে সেই প্রাইমারী স্কুলটি জিলা স্কুলের মর্যাদা লাভ করে এবং তৃতীয় শ্রেণী থেকে ক্লাশ শুরু হয় পুরাতন ভবনটিতে। পূর্বে ভবনটি রাজাদের কাচারী ছিল। সম্প্রতি ১৯৯২ সালে উক্ত ভবনটি ভেঙ্গে নতুন দ্বিতল ভবন নির্মিত হয়।